কীর্তনখোলা নদীর তীরে মুসলমানদের আধ্যাত্মিক মহা মিলনমেলা ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক ফাল্গুনের মাহফিল সমাগত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এদিন বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ঐতিহাসিক এ মাহফিল।
বুধবার বাদ জোহর শুরু হওয়া এ ঐতিহাসিক আধ্যাত্বিক মিলন মেলা ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে।
এবছর সৌদিআরব, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সুদান, ফিলিস্তিনসহ আন্তর্জাতিক ইসলামী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ চরমোনাই মাহফিলে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
মাহফিল উপলক্ষে সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সড়ক ও নৌপথে আসতে শুরু করেছে। ফাল্গুনের মাহফিলের জন্য নির্ধারিত ৫টি মাঠেই সামিয়ানা টানানো শেষ। একইসাথে লাইট, মাইক ও মাহফিলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের টেলিফোন সংযোগ স্থাপন কার্যক্রম চলমান। লাখো মুসল্লিদের শৃংখলার জন্য হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল টিম এবং নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
এছাড়াও মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে হতে অসুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যাক্তিদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে একশত শয্যা বিশিষ্ট চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল। এখানে দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
প্রতি বছর বাংলা মাস হিসেব করে চরমোনাইতে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল হয়। তন্মধ্যে অগ্রহায়ণ কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসে মাহফিল হয় বৃহৎ পরিসরে।
খুলনা গেজেট/এএজে